এ কাজে তারা যেমন আরব শাসকদের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে নেই তেমনি তারা তাদের অনুমতি নেয়ারও প্রয়োজন বোধ করেনি। তিনি আরো বলেছেন, আরব শাসকরা তো তাদের নিজেদের দেশের জনগণকে রক্ষা করতেই সক্ষম নয় তারা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করবে কীভাবে?
হিজবুল্লাহর শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ও সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহর ব্যক্তিগত উপদেষ্টা সাইয়্যেদ মুস্তফা বদরুদ্দিনের শাহাদাতের ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে এ মন্তব্য করেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব। তিনি বলেন, সাইয়্যেদ বাদরুদ্দিন সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের নেতৃত্বাধীন বিশ্ব আধিপত্যকামী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, বাদরুদ্দিনের প্রজন্ম ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করার জন্য কোনো আরব, মুসলিম বা আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করেনি।
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণও তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য কোনো আরব শাসক, আরব লীগ বা জাতিসংঘের অনুমতি কিংবা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বসে থাকবে না।
তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠার দিন বা নাকবা দিবস শুধু ফিলিস্তিনের জন্য নয় বরং তা এ অঞ্চলের গোটা আরব জাতিগুলোর জন্য বিপর্যয়। এই আরব জাতিগুলো যখন ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী ছিল তখনই তারা ফিলিস্তিনকে রক্ষা করতে পারেনি। কাজেই ফিলিস্তিনিরা এককভাবে প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়েই তাদের মাতৃভূমি মুক্ত করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সাইয়্যেদ বদরুদ্দিন ২০১৬ সালের ১৩ মে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের শহরতলীতে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হন। iqna