এনএসআইএ-এর উপ-পরিচালক হাসিবুল্লাহ মুওয়াহেদ বলেন, ডব্লিউএফপিসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিনই জনগণকে বিভিন্ন ভুল পরিসংখ্যান দেয় এবং এভাবে তারা আফগানিস্তান ও বিশ্বের জনগণকে প্রতারিত করতে চায়। এসব পরিসংখ্যানের কোনো ভিত্তিই নেই।
হাসিবুল্লাহ মুওয়াহেদ আরো বলেন, এ ধরনের তাৎক্ষণিক সাহায্য দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার কোনো সমাধান করে না বরং আফগানিস্তানে দারিদ্র্যের হার আরও বাড়িয়ে দেয়। এভাবে মানবিক সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে আফগান অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এই প্রক্রিয়ায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা কঠিন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল রহমান হাবিব বলেন, মানবিক সহায়তা জাতিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে, কিন্তু তা কোনোভাবেই জনগণকে স্বাবলম্বী করতে পারে না।
কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান মানবিক সহায়তার জন্য মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। যেমন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, তারা আফগানিস্তানের ১৮ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কাছে খাদ্য সরবরাহ করতে ২৬০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে।
কিছু অর্থনীতিবিদ আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা প্রদানের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের সাহায্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়। অর্থনীতিবিদ সাইয়েদ মাসুদ বলেন, অর্থনৈতিকভাবে এর কোনো মানে হয় না এবং সামাজিকভাবেও এর কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই।
দেশের কিছু বাসিন্দা বিশ্বাস করেন, মানবিক সাহায্য সঠিকভাবে অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় না। একজন শিক্ষক বলেন, এ ধরনের সহায়তার ক্ষেত্রে যারা এর দায়িত্বে থাকে, সহায়তার বেশিরভাগ তাদের নিজের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। যোগ্য লোকের হাতে তা পৌঁছায় খুবই কম।