পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তিনি বলেন, ইমাম খোমেনি (রহ) বিশ্ব কুদস দিবসকে 'ইসলামের দিবস' বলে অভিহিত করেছিলেন। এই দিবসকে ফিলিস্তিন সংকট বিস্মৃত না হওয়ার অন্যতম কারণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একইসঙ্গে এই দিবসকে বর্ণবাদী ও শিশু হত্যাকারী ইসরাইলের কালো ইতিহাস জাগ্রত রাখার উপায় বলেও বিশিষ্ট এই আলেম মন্তব্য করেন।
কাজেম সিদ্দিকী বলেন, ইন্তিফাদা ও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন অধিকৃত ভূখণ্ডে আরও দৃঢ় হয়ে উঠেছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলসহ তাদের দোসর সৌদিআরব, আরব আমিরাতকে এই প্রতিরোধ আন্দোলন ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলেছে।
জুমার এই ইমাম বলেন কুদস দিবসের কল্যাণে ফিলিস্তিন সমস্যা এখন বিশ্বদৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বিশ্ববাসী বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ফিলিস্তিন সমস্যা এখন আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনীদের অধিকার বাস্তবায়নের একটা বিশ্বজনীন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে বলেও জুমার খতিব মন্তব্য করেন।
চলতি শতাব্দিকে বলদর্পিদের ওপর নিপীড়িতদের বিজয়ের শতাব্দি বলে উল্লেখ করে জনাব সিদ্দিকী আরও বলেন, ইসলামি বিপ্লব কেবল ইরানের বিপ্লবই নয় বরং এই বিপ্লব বিশ্বজনীন একটি বিপ্লব। বিশ্বের সকল মুসলমান ইসলামি বিপ্লবের পতাকাতলে আসবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। iqna