IQNA

মাহদাভিয়াতের জন্য ইসলামী বিপ্লবের অবদান

23:16 - February 15, 2018
সংবাদ: 2605059
ইসলামী বিপ্লবের পূর্বে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের প্রতি বিশ্বাস খুব বেশী বলিষ্ঠ ছিল না। বেশির ভাগ মানুষ মনে করত ইমাম অন্তর্ধানে আছেন আমার তার জন্য শুধু দোয়া করব।


বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: কিন্তু ইমাম খোমেনী(রহ.) তার ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে বাস্তবে দেখিয়ে দিলেন যে যদি আমাদেরকে ইমাম মাহদীর অনুসারী এবং প্রতিক্ষাকারী হতে হয় তাহলে অবশ্যই তার আগমনের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে, অর্থাৎ অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।

তিনি এক্ষেত্রে কুরআন ও আহলে বাইতের পথকে অনুসরণ করেছেন এবং তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা সবার দায়িত্ব এটা তিনি বাস্তবে প্রমাণ করে দিয়েছেন।

ইমাম খোমিনী তার সকল বক্তব্যে বিশেষ করে বেহেশতে যাহরায় যে বক্তব্য তিনি দিয়েছিলেন তাতে তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করেছিলেন যে আমরা সর্বদা মজলুম জনতার পক্ষে রয়েছে এবং তাদের অধিকার আদায় করা আমাদের দায়িত্ব।

সূরা কাসাসের ৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন: وَنُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ

মহান আল্লাহ সাম্রাজ্যবাদী ও অহংকারীদেরকে এই পৃথিবীতেই অপমানিত করেন এবং তারা যাদের ওপর জুলুম ও নির্যাতন করেছে তাদেরকেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেন।

অবশ্য মনে রাখতে হবে, মহান আল্লাহ কোনো কারণ ও যুক্তি ছাড়াই এমনটি করেন না। নির্যাতনের স্বীকার যেকোনো জাতিকে অত্যাচারী শাসকের জুলুম থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা শুরু হলে তারপরই কেবল আল্লাহর সাহায্য আসবে এবং অত্যাচারী শাসকের পতন হবে। ইতিহাসের প্রতিটি যুগে আল্লাহর এই অমোঘ নিয়ম বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রতিটি জাতির ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে সেই জাতির কর্ম ও প্রচেষ্টার ভিত্তিতে। যেসব জাতি হাত গুটিয়ে বসে ছিল আল্লাহ তায়ালা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেননি।

বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে, শেষ জামানায় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সা.)-এর বংশধর হযরত মাহদি (আ.)-এর আবির্ভাব হবে। তিনি অত্যাচারী ও দাম্ভিক শক্তিগুলোর পতন ঘটিয়ে নির্যাতিত জাতিগুলোকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবেন। আর এভাবে প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য- সর্বত্র ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। শাবিস্তান

captcha