IQNA

«اَشِدّآءُ عَلَی الکُفّار» দাঙ্গাবাজ নেতাদের সাথে মোকাবিলা করার একটি কৌশল

20:05 - October 21, 2022
সংবাদ: 3472686
তেহরান (ইকনা): হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ আহমদ খাতামি তেহরানে জুমার নামাজের প্রথম খুতবায় দাঙ্গাবাজ নেতাদের মোকাবেলার উপায় উল্লেখ করে বলেন: যারা অর্থ গ্রহণ করে দাঙ্গায় অংশ নিয়েছে এবং দাঙ্গাবাজদের নেতাদেরকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা উচিত, এবং তাদের প্রতি করুণার কোন স্থান নেই, বরং «اَشِدّآءُ عَلَی الکُفّار» "কাফেরদের প্রতি কঠোর" এই আয়াতের বার্তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বোর্ড অফ লিডারশিপ এক্সপার্টস অ্যাসেম্বলির সদস্য হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ আহমদ খাতামি আজ ২১শে অক্টোবর, তেহরানে জুমার নামাজের প্রথম খুতবায় মুসল্লিদেরকে তাকওয়া পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন: মহান আল্লাহ আমাদের যে নিয়ামত দিয়েছন তার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত। আমাদের উচিত স্বাস্থ্যের নিয়ামত, ইসলামী ব্যবস্থার নিয়ামত এবং নিরাপত্তার নিয়ামত এবং আল্লাহ যে নিয়ামত দান করেছেন, সেসকল নিয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ জ্ঞাপন করা উচিত, কিন্তু আল্লাহ আমাদেরকে যে জিনিসগুলি দেননি সেগুলির দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত নয় এবং তিনি আমাদের যা দিয়েছেন, তা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং তার জন্য আমাদের আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত।
 
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ভবিষ্যৎ অতীতের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল। তেহরানের জুমার খতিব আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আহমাদ খাতামি আরও বলেন, বিপ্লবের ভবিষ্যৎ শত্রুদের অপতৎপরতায় বিঘ্নিত হবে না।
 
সাম্প্রতিক নৈরাজ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন: শত্রুরা ইরানি জাতিকে নিয়ে ব্যাপক স্বপ্ন দেখেছিল কিন্তু তাদের সকল স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। কোনো একেটি লক্ষ্যও অর্জিত হয় নি বলে জনাব আহমাদ খাতামি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: শত্রুরা যখনই বিপ্লবের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেছে আল্লাহ তখনই ওই আগুন নিভিয়ে দিয়েছেন। বিশিষ্ট এই আলেম বলেন: যতদিন আমরা দ্বীন এবং বিপ্লবের ওপর অটল থাকবো ততদিন শত্রুদের অপতৎপরতা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন: শত্রুদের মোকাবেলা করার ইসলামি বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিরোধ করা। এই প্রতিরোধের জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত দিক থেকে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। ইরানি জাতি এভাবে শত্রুদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ক্লান্ত হয় নি বরং ক্লান্তিকে তারা ক্লান্ত করে ছাড়বে। ইরানের অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিশ্ববাসী জানে আমেরিকার ক্ষয়িষ্ণু পরিস্থিতির কথা। তারপরও তারা বিগত এক মাস ধরে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সমর্থনে কাজ করে গেছে।
 
তেহরানে জুমার নামাজের অস্থায়ী খতিব বলেন: এই এক মাসে ইরানকে ধ্বংস করার জন্য শত্রুরা চারটি পন্থা অনুসরণ করেছে। এগুলোর মধ্যে ছিল বর্বর পাশবিকতা, মসজিদ পোড়ানো, কোরান পোড়ানো, মুসলিম মেয়েদের মাথা থেকে হিজাব সরানো। তারা অফিসারদের গলায় ছুরি বসিয়েছে। বিপ্লবের শুরু থেকে এই বর্বরতা শুধু মোনাফেকিনে খালক বাহিনীর ভন্ডরাই করেছে বলে জনাব আহমাদ খাতামি মন্তব্য করেন
captcha