ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নিষে'ধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা নিপীড়নে দা'য়ী মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তারা, ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় সম্পৃক্ত সৌদি কর্মকর্তারা, ২০০৯ সালে রুশ আইনজীবী সের্গেই ম্যাগনেটস্কি হ'ত্যায় দায়ী ব্যক্তিরা এবং উত্তর কোরিয়ার দুটি সংস্থা। এর আওতায় দেশটিতে থাকা এসব ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পদ জ'ব্দ হবে এবং তারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশের সুযোগ হারাবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব পার্লামেন্টে বলেন, এই হাউস ব্রিটিশ জনগণের পক্ষ থেকে জোরালো বার্তা পাঠাচ্ছে যে, যারা হত্যাকারী, যারা নিপীড়ক তারা ব্রিটেনের মাটিতে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবে না।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার হরণের ঘটনা ঠে'কাতে যুক্তরাজ্য ‘দ্য গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস স্যাংকশন রেগুলেশন ২০২০’ নামের একটি আইন প্র'ণয়ন করেছে। এর অধীনে শাস্তির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি বিবেচনা করা হবে সংশ্লিষ্ট ঘট'নায় দায়ী ব্যক্তি ও সংস্থাকে। এই আইনে সোমবার প্রথমবারের মতো ৪৯ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষে'ধাজ্ঞা আ'রোপ করেছে ব্রিটিশ সরকার।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর (তাতমাদো) প্রধান সেনাপতি সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইং ও উপ-সেনাপতি ভাইস সিনিয়র জেনারেল সোয়ে উইং রয়েছেন। প্রথমবারের মতো এই ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২৫ জন রাশিয়ার নাগরিকও রয়েছেন। এসব রুশ নাগরিক আইনজীবী সের্গেই ম্যাগনটস্কি হ'ত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে মনে করে যুক্তরাজ্য। রাশিয়ার একদল ট্যাক্স ও পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি উন্মোচনের পর ম্যাগনটস্কি পুলিশি হেফাজতে প্রাণ হা'রান।
যুক্তরাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার সঙ্গে জ'ড়িত সন্দে'হভাজন ২০ সৌদি কর্মকর্তাও। বাধ্যতামূলক শ্রম, নির্যাতন এবং খুনের সঙ্গে জড়িত উত্তর কোরিয়ার দুটি সংস্থাও রয়েছে এই নিষে'ধাজ্ঞার আওতায়।
এর আগে ২০১৯ সালে ১৭ জুলাই, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে পূর্ব-পরিকল্পিত রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর মিয়ানমার সেনাবহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর নিষে'ধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: mtnews24