IQNA

আরবাইনে কারবালায় এক কোটি ৮০ লাখ জিয়ারতকারীর সমাগম

18:26 - October 19, 2019
সংবাদ: 2609465
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (আ.)এর আরবাইনের মহান পদযাত্রা প্রতি বছর বিশ্বের শুদ্ধ প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণ করে এবং সমস্ত মানবিক গুণাবলীর পূর্ণ প্রকাশ ঘটে।

বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: আরবাইন উপলক্ষে পূতপবিত্র আহলে বায়তে (আ.)এর [বিশেষ করে ইমাম হুসাইনের (আ.)] ভক্তগণ আজ ইরাকের পবিত্র নগরী কারবালায় সমবেত হয়েছেন। ইরাকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত এসকল ভক্তগণ আরবাইনের [ইমাম হুসাইন (আ.)এর চেহলুমের] শোকানুষ্ঠান পালনের জন্য এসকল ভক্তগণ কারবালায় উপস্থিত হয়েছেন।
ইরাকের বিভিন্ন মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, আজ (১৯শে অক্টোবর/ ২০শে সফর) সকাল পর্যন্ত এক কোটি ৮০ লাখ জিয়ারতকারী কারবালায় প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে বিদেশী ৫০ লাখ জিয়ারতকারী রয়েছে। এসকল জিয়ারতকারী বাংলাদেশ, ইরান, পাকিস্তান, ভারত ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরবাইন পালন করতে ইরাকে গিয়েছেন।
গোটা কারবালা আজ মাতমের শহরে রূপ নিয়েছে। সারা নগর জুড়ে চলছে মাতম। আর নানা শোক অনুষ্ঠান। ইমাম হুসাইন (আ)'র শাহাদাতের চেহলাম বার্ষিকী উপলক্ষে কারবালা এখন পরিণত হয়েছে জনারণ্যে।
কারবালা প্রান্তরে মুহররমের ১০ তারিখ বা আশুরার দিনে মুয়াবিয়া পুত্র ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন ইমাম হুসাইন (আ)। ছয় মাসের শিশু হজরত আলী আসগর (আ)সহ ইমামের ৭২জন সঙ্গীও এদিন শহিদ হয়েছিলেন। ইমাম হুসাইন (আ) শহিদ হওয়ার ৪০ দিন পূর্তিতে শোক অনুষ্ঠান হয়েছে। সে শোক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মানুষ দলে দলে যোগ দিয়েছে।
এদিকে গোটা কারবালা আজ মাতমের শহরে রূপ নিয়েছে। সারা নগর জুড়ে মাতম আর নানা শোক অনুষ্ঠান পালন করেছেন আহলে বায়েত (আ.)এর একনিষ্ঠ ভক্তগণ।
আরবাইন উপলক্ষে ইরাক জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে ইরাকের সামরিক বাহিনী। সামরিক বাহিনী স্থলপথ ও আকাশপথে সর্বদা সোচ্চার থাকার কারণে তারা সফল হয়েছে।

আরবাইনের পদযাত্রীদের উদ্দেশ্যে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

আরবাইনে কারবালায় এক কোটি ৮০ লাখ জিয়ারতকারীর সমাগম

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদী আরবাইনের পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদেরকে উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে সম্মাননা প্রদর্শন করেছেন।
তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন: ইরাকের লাখ লাখ জনগণ এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের জাতি একটি মুক্তি জাতি। এই জাতি কখনো অপমান ও অবজ্ঞাকে বরদাস্ত করবে না।
আদেল আবদুল মাহদী আরও বলেন: আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত যে, ইমাম হুসাইন (আ।)এর বিপ্লব অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ছিল। আরবাইনের জিয়ারতের পরোক্ষ অর্থ হচ্ছে ধ্বংস ও দুর্নীতিকে মেনে না নেওয়া। আমাদের সরকারও দুর্নীতি নির্মূল ও সামাজিক ন্যায়বিচার আনার চেষ্টা করছে।     iqna

 

captcha