IQNA

ইমাম কাজিম (আ.) ছিলেন দয়ার সাগর এবং বাবুল হাওয়ায়েজ

1:28 - April 23, 2018
সংবাদ: 2605585
ইমাম কাজিম (আ.) সকল ইমামদের ন্যায় অত্যন্ত দানশীল ও দয়ালু ছিলেন এবং তার কাছে থেকে কেউ কখনোই খালি হাতে ফিরে যেত না। কিন্তু তিনি নিজে খুব কঠিন জীবন-যাপন করতেন তিনি দামি খাবার খেতেন না। তিনি গম আর যত মিশিয়ে আটা বানিয়ে সেই রুটি খেতেন।


শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) হযরত আলীকে বলেন: মহান আল্লাহ তোমাকে সংযমের মাধ্যমে সৌন্দর্যমনি করেছেন। অর্থাৎ তোমার থেকে বড় সংযমী আর কেউ হতে পারবে না। আর মাওলা আলীর এই পন্থাকে সকল ইমামগণ অনুসরণ করে চলেছেন।

ইমাম কাজিম(আ.) বলেছেন: মধ্যপন্থা অবলম্বন করলে জীবনে বরকত নেমে আসে এবং সম্পদে বরকত হয়। মহানবী(সা.) বলেছেন: اَمَرَنی رَبّی بِحُبِّ المَساکینَ المُسلِمینَ مِنهُم؛ মহান আল্লাহ আমাকে গরিব দুখীদের ভালবাসতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাবুল হাওয়াজ মানে হচ্ছে চাহিদা পূর্ণ হওয়ার দরজা। যেহেতু ইমাম কাজিমের কাছে গেলে সবার চাহিদা পূরণ হত তাই তাকে বাবুল হাওয়ায়েজ বলা হয়।

ইমাম মুসা কাজিম (আ.) বলেছেন- مَن استَوى یَوماهُ فَهُوَ مَغبونٌ و مَن کانَ آخِرُ یَومَیهِ شَرَّهُما فَهُوَ مَلعونٌ و مَن لَم یَعرِفِ الزِّیادَةَ فی نَفسِهِ فَهُوَ فی نُقصانٍ و مَن کانَ إلَى النُّقصانِ فَالمَوتُ خَیرٌ لَهُ مِنَ الحَیاةِ.

অর্থাৎ যে ব্যক্তির পরস্পর দু'টি দিন সম পর্যায়ে হবে; সে ক্ষতিগ্রস্ত।

যে ব্যক্তির চলতি দিনটি পূর্বের দিনের তুলনায় মন্দ হবে; সে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে।

যে ব্যক্তি নিজের মধ্যে অগ্রগতি ও উত্তরণ না দেখবে, সে পতনের দিকে ধাবিত হবে।

আর যে ব্যক্তি পতন ও ক্ষতির দিকে ধাবিত হবে; তার জন্য বেচে থাকার চেয়ে মৃত্যু বরণ শ্রেয়।

সূত্র: বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৮তম, পৃ. ৩২৭।

captcha