IQNA

কেন ইমাম মাহদীকে শারিকুল কুরআন বলা হয়?

1:07 - April 17, 2018
সংবাদ: 2605534
শেষ জামানার মানুষ হিসাবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ইমাম মাহদী সম্পর্কে বেশী করে মারেফাত হাসিল করা। কেননা তিনি হচ্ছেন আমাদের যুগের ইমাম তার আনুগত্য করতে হলে প্রথমে তাকে ভালভাবে চিনতে ও জানতে হবে। তার একটি অন্যতম উপাধি হচ্ছে শারিকুল কুরআন তথা কোরআনের অংশীদার।


বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: কুরআনের অংশীদার যে শুধু তিনি একা তা কিন্তু নয় বরং সকল ইমামগণই হচ্ছেন শারিকুল কুরআন। কেননা মহানবী বলেছেন: আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারি জিনিস রেখে যাচ্ছি একটি হচ্ছে কুরআন আর অপরটি হচ্ছে আমার আহলে বাইত। সুতরাং এদুটি হচ্ছে একই জিনিস।

রজব মাসে ইমাম হুসাইনের জন্য যে যিয়রাত বর্ণিত হয়েছে তাতে ইমাম হুসাইনকে শারিকুল কুরআন হিসাবে সালাম দেয়া হয়েছে। «السلام علیک یا شریک القرآن»

কুরআন ও আহলে বাইত হচ্ছে আল্লাহর কাছে পৌছানোর জন্য সব থেকে বড় মাধ্যম আর এ জন্যই এই দুটোকে নবীর পরে হেদায়াতের জন্য সব থেকে বড় বা ভারি বস্তু হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। «انی تارک فیکم الثقلین...»

কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিকোন থেকে ইমাম মাহদীর অনুসারী হওয়ার জন্য আমাদের করণীয় দায়িত্ব হচ্ছে:

১। ন্যায় কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ,
২। তওবা, ঈমান এবং সৎকর্ম।
৩। দৃঢ়তা এবং পরহেজগারিতা,
৪। ইমাম মাহদীর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তার আবির্ভাবের জন্য দোয়া ও চেষ্টা করা। আর নিজেকে তার যোগ্য সৈনিক হিসাবে গড়ে তোলা।

captcha