IQNA

মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে: সুষমা স্বরাজ

21:51 - October 22, 2017
সংবাদ: 2604136
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, বাংলাদেশে আসা নাগরিকদের অবশ্যই ফেরত নিতে হবে মিয়ানমারকে। সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুষমার এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।


বার্তা সংস্থা ইকনা: বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নাম উল্লেখ না করলেও বিশাল সংখ্যার এই শরণার্থীদের বাংলাদেশের জন্য ‘বড় বোঝা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কত দিন এই ভার বহন করবে। এর একটা স্থায়ী সমাধান হতে হবে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেদেশের পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর এবং ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চতুর্থ যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে এ সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মারকচিহ্নসমূহ উপহার দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।  

এর আগে, রবিবার বিকালে দু'দেশের মধ্যকার চতুর্থ যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক শেষে জ্বালানি ও তথ্য বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোহিঙ্গাদের সবাইকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়াসহ রাখাইন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মিয়ানমারকে অব্যাহত চাপ দিতে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

আজ রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দুই দেশের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ বিষয়ে তার বিবৃতিতে বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত লোকজনের মাতৃভূমিতে ফেরার মধ্যেই সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। আমাদের দৃষ্টিতে রাখাইন রাজ্যের একমাত্র স্থায়ী সমাধান হচ্ছে দ্রুত সেখানে আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা, যা সেখানকার সব জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে আমাদেরও সমর্থন রয়েছে।’

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিকেল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দেন।

এর আগে বেলা পৌনে দুইটার দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় পৌঁছান। জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে তাঁর ঢাকায় আসা। এমটিনিউজ
captcha